বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই দেশের হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে কর্মহীন হয়ে পড়ে এ খাতের কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক।দীর্ঘসময় কর্মহীন থাকার ফলে এ শিল্পের শ্রমিকরা বর্তমানে দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে সারাদেশে সকল হোটেল-রেস্তোরা খুলে দেয়ার জন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি।গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবী জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকারী সিন্ধান্তে সীমিত পরিসরে অন্যান্য জন-গুরত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও হোটেল রেস্তোরা এখনো সব বন্ধ রয়েছে। এই শিল্পের সাথে জড়িত লাখ লাখ শ্রমিকের বেকারত্বের ফলে তাদের রোজগারের উপর নির্ভরশীল দেশের জনগণের একটা বিরাট অংশ অনাহার/অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। এমনকি সরকারের পক্ষথেকে ত্রান-সামগ্রী পাওয়া থেকে এ শিল্পের শ্রমিকরা অনেকটা বঞ্চিত হয়েছে।
শামসুল ইসলাম বলেন, দূর পাল্লার পরিবহন শ্রমিক যাত্রী,অফিস,কলকারখানা শ্রমিকরা ডিউটি কালীন সময়ে হোটেলের তৈরী খাবারের উপরই প্রধানত নির্ভরশীল। ফলে হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় সাধারণ শ্রমিকদের নানাবিধ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ক্ষুদ্র হোটেল-রেস্তোরা মালিকেরা ও দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকায় আর্থিক অনটনে পড়েছেন।
মান সম্মত হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ থাকায় মানুষ যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর ও নিম্ন মানের খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে করোনা সহ অন্যান্য রোগ ব্যাধির প্রকোপ বাড়ার আশংকা রয়েছে।
তাই অবিলম্বে তিনি,হোটেল রেস্তোরাঁ খুলে দিয়ে এই শিল্পের সাথে কর্মরত লাখো লাখো শ্রমিক ও তাদের উপর নির্ভরশীল হতদরিদ্র মানুষদের জীবন জীবিকার দ্বার উম্মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান এবং স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করন পূর্বক বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলার জন্য নিন্মোক্ত পরামর্শ প্রদান করেন।
১। কমপক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব নিশ্চিত করে গ্রাহকদের জন্য টেবিল সাজানো।
২। প্রতি টেবিলে ৪ জনের বেশি গ্রাহক না বসানো।
৩। হোটেলের প্রবেশ মুখ হাত ধোয়া ও পায়ে জীবাণু নাশক ছিটানো।
৪। মাস্ক বিহীন গ্রাহক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।
৫। শ্রমিকদের জীবাণু রোধক পোষাক, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস প্রদান।
৬। হোটেলের অভ্যান্তরে জীবাণু মুক্ত পরিবেশ তথা ধোয়া মোছার ব্যবস্থা তদারক বৃদ্ধি করা।
৭। রান্না ঘর, নাস্তার ষ্টান্ড সহ খাবার প্রস্তুত কাজের স্থাপনা সমূহ প্রয়োজনীয় দূরত্বে স্থাপন, তাপ নিয়ন্ত্রণ, উম্মুক্ত আলো বাতাস সহ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করন।