বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেছেন, সকল শিল্প কল কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদুল আজহার পূর্বেই দিয়ে দিন যাতে করে শ্রমিকরা ঈদ উৎসব তাদের পরিবার নিয়ে করতে পারে। প্রতিবছরই কিছু কিছু মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের বোনাস এবং বেতন ভাতা নিয়ে টালবাহানা ও ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। এতে কারখানার শ্রমিকদের অমানবিক অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। তারা ও তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়। যেটা আমাদের কারো কাম্য নয়।তাই গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন- বোনাস ঈদের আগে অতিদ্রুত পরিশোধের জন্য গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে কারখানার মালিকদের প্রতি নেতৃবৃন্দ এই আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত রমজানে ঈদ শ্রমিকরা প্রচণ্ড কষ্টে অতিবাহিত করেছেন। মালিকদের দুরভিসন্ধি ও অবহেলার কারণে শ্রমিকরা বেতন, বোনাস নিয়ে দুর্ভোগের পাশাপাশি ছাঁটাই এবং লে-অফের যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। সরকারের প্রণোদনা নিয়েও মজুরি পরিশোধে তালবাহানা করেছে অনেক গার্মেন্টস মালিক। এই পরিস্থিতি যেন কুরবানি ঈদের সময় না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন নেতৃবৃন্দ।
তারা আরো বলেন, করোনার কারণে বাংলাদেশে শ্রমজীবী মানুষ পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়েছে। মানবিক এই বিপর্যয়ের সময়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েছে।যা শ্রমিকদের কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। তার উপর করোনার সঙ্গে ঝড়-বন্যা মরার উপর খাড়ার ঘা।ফসলহারা কৃষকরা অর্ধাহারে-অনাহারে ক্ষুধায় হাহাকার করছে। দেশের এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দল-মত নির্বিশেষে সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ ।
তারা, কৃষকদের জন্য খাদ্য দ্রব্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিনামূল্যে ঔষধসহ চিকিৎসা সামগ্রী ও বিনা সুদে কৃষি ঋণ প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে স্বচ্ছল, দানশীল ব্যক্তি, সাহায্য সংস্থা এবং বিশেষ করে শ্রমিক কল্যাণের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদেরকে দুর্গত এলাকার জনগণের পাশে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।