বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আজ দুপুর ২ ঘটিকার সময় নাটোরের গুরুদাসপুরে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ জন শ্রমিক নিহত ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ আজ এক যৌথ শোকবাণীতে বলেন, করোনা উর্দ্ধগতি রুখতে সরকার লকডাউন নিয়ে একেরপর এক আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। রপ্তানীমুখি কল-কারখানা ও গার্মেন্টস সচল করার জন্য লকডাউন শিথিল করা হলেও রাজধানীর বাহিরে যাওয়া শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে ফেরত আনার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা নিজেদের ব্যবস্থা আসতে গিয়ে একদিকে যেমন করোনার ভয়াবহতার শিকার হচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে পথে পথে হয়রানি ও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাবিশ^ যখন করোনা মহামারী সুষ্ঠু পরিকল্পনার আলোকে কাটিয়ে উঠছে সেখানে আমাদের দেশে বিপরীত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে প্রত্যক্ষ করছি সরকার কোভিড নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ আমলে না নিয়ে নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্ত সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। মালিকপক্ষের দাবি মেনে রপ্তানীমুখি শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হলেও শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে আনার জন্য গণপরিবহন পরিচালনার অনুমতি দেয়নি। চাকুরী বাঁচাতে ও পেটের দায়ে শ্রমিকরা ঢাকায় আসতে গিয়ে এক হুলস্থল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ছোট ছোট পরিবহনে গাদাগাদি করে আসার জন্য করোনা যেভাবে ছড়িয়েছে ঠিক অন্যভাবে সড়ক পথে একেরপর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার দায় সরকার কোনভাবে এড়াতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দ্রæততম সময়ের মধ্যে দিতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ নিহত শ্রমিকদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রæত সুস্থতা কামনা করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট দোআ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।