বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নওগাঁ জেলা পশ্চিমের সভাপতি শামসুল হুদা ও কৃষি শ্রমিক নেতা খাইরুল আলমকে পুলিশ কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান।
আজ এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শামসুল হুদা ও খাইরুল আলম ফেডারেশনের নিয়মিত বৈঠকাদি শেষ করে যাওয়ার পথে পুলিশ তাদেরকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১) (ক) ও ১৫(৩) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ তাদের নিকট থেকে এই আইনের আলোকে সরকার বিরোধী কিছু পাওয়া যায়নি। তাদের কাছে সংগঠনের নিয়মিত কর্মসূচির কিছু কাগজ পাওয়া গেছে। পুলিশের সাজানো ও মিথ্যা মামলায় আদালত ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ১ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে। আমরা অবিলম্বে রিমান্ড বাতিল পূর্বক শ্রমিক নেতা শামসুল হুদা ও খাইরুল আলমকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পুলিশকে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে। যার ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল-মতের লোকজনদের বিনা বিচারে পুলিশ গ্রেফতার করছে। আমরা পুলিশের এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত শ্রমিকদের জাতীয় সংগঠন। এই সংগঠন রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যক্রম পরিচালনা করে না। শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এটি দেশের মানুষের কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট। এতদ্বসত্ত্বেও পুলিশ কিছুদিন পরপর একটি অনুমোদিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে তাদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করছে। আমরা পুলিশের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, শ্রমিক সংগঠনের কাজে আপনারা বাধা সৃষ্টি করবেন না। সরকারের আজ্ঞাবহ না হয়ে দেশের মানুষের জন্য আপনারা কাজ করুন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনসহ সকল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আপনাদের মনগড়া মামলা প্রত্যাহার করুন। নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, পুলিশ বাহিনীকে আপনাদের দলীয় উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অবিলম্বে শ্রমিক নেতা শামসুল হুদা ও খাইরুল আলমকে দ্রæত মুক্তি দিন। অন্যথায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।