বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ কে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। আজ এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ২ দিনের রিমাণ্ড বাতিল করে কবির আহমদ কে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সরকার বিরোধী দল-মতের মানুষের ওপর অমানবিক আচরণ শুরু করেছে। গতকাল ইফতারের ১০ মিনিট পূর্বে কোন ধরনের ওয়ারেন্ট ইস্যু ছাড়া কবির আহমদ কে তার বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এটি একজন রোজাদারের সাথে নিকৃষ্ট আচরণ ছাড়া আর কিছুই না। ইতঃপূর্বে কবির আহমদ-এর নামে পুলিশ সরকারের প্ররোচনায় বহু মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কবির আহমদ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি এই সকল ভুয়া বানোয়াট মামলা আইনিভাবে মোকাবেলা করেছেন। আদালতে এই সকল মামলার স্বপক্ষে পুলিশ কোন তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারছে না। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য সরকার পুলিশকে দিয়ে এসব মামলা দায়ের করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কবির আহমদ একটি জাতীয় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। লাখো লাখো শ্রমিকের রুটি রুজির আদায়ের সংগ্রামে তিনি নির্ভীকভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি কোনো পলাতক আসামী নন। তার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। কবির আহমদ আজীবন শ্রমিকদের পাশে ছিলেন। শ্রম অঙ্গনে তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। শ্রমিক দরদি এই নেতাকে গ্রেফতার করে সরকার শ্রমিকদের অন্তরে আঘাত দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের নীল নকশা বন্ধ করুন। কবির আহমদসহ সারাদেশে গ্রেফতারকৃত শ্রমিক কল্যাণের ফেডারেশন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। বিশেষত প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আ ন ম শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মিয়া গোলাম পরওয়ার ও ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন।