গত সংখ্যার পর….
৩.ইসলামী সমাধান: শ্রমিক সমস্যা সমাধানে ইসলামী রাষ্ট্র নিন্মেক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।
√ ইসলামী রাষ্ট্র তাহার নিখুঁত ব্যবস্থা করবে।
√ যে কাজ করে এবং যে কাজ করায় তারা উভয়ই উভয়কে ভাই বলে মনে করবে।
√ দুই সহোদর ভাইয়ের মধ্যে যে সম্পর্ক তাদের মধ্যেও ঠিক তাই হবে।
√ বিশ্বনবির এটাই আন্তরিক বাসনা এবং ইসলামের দৃষ্টিতে এটাই সুষ্ঠু মানবিক আদর্শ।
√ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান প্রভৃতি বুনিয়াদি প্রয়োজন পূর্ণ করা পর্যন্ত মজুর ও মালিকের আর্থিক অবস্থা একেবারে সমান স্তরের হতে হবে।
√ মালিক নিজে যা খাবে তাই মজুর ও শ্রমিককে খেতে দিবে। যা নিজে পরিধান করবে মজুরকেও তাই পরিধান করতে দেবে। এই আদর্শ হতে মজুরের পারিশ্রমিক নির্ধারণের ব্যাপারে ইসলামের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিও নিঃসন্দেহে জানতে পারা যাবে।
√ রাসুল (সা.) এই আদর্শকে মালিকের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া কোন ক্রমেই ঠিক হবে না।
ইসলামী রাষ্ট্র আইনের সাহায্যে এইরূপ আচরণকে প্রত্যেক মালিক ও মজুরির পক্ষ অবশ্যই করণীয় ও বাধ্যতামূলক করে দিবে।
√ রাসুলে করিম (সা.) বলেন, “মজুর-শ্রমিক ও ভৃত্যদের যথারীতি থাকা ও পোশাক দিতে হবে।” তিনি বলেন, যারা তোমাদের কাজ করছে তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। (বুখারী)। তাদের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক প্রভু ভৃত্যের নয় বরং তোমরা ভাই ভাই।
নবী করিম (সা.) একবার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বলেছেন, “তোমরা তোমাদের আপনজন ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে যেমন ব্যবহার করে থাকো তাদের সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করবে।” আর মানুষ হিসেবে তারা তোমাদের চেয়ে কোনক্রমে কম নয়। তোমরা কি দেখ না আমি যায়েদকে আজাদ করে আমার ফুফাতো বোনের সঙ্গে তার বিয়ে দিয়েছি এবং বিলালকে মুয়াজ্জিন মনোনীত করেছি। কেননা সে আমাদের ভাই। তোমরা আরও দেখ যে, আনাস আমার কাছে থাকে। আমি তাকে নিকৃষ্ট মনে করি না। সে কোন কাজ না করলে আমি তাকে বলি না যে কেন তুমি তা করোনি? আর যদি সে হঠাৎ কোন ক্ষতি করে বসে তবুও তার প্রতি আমি রাগ করি না। (বুখারী)
রাসুলে করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা ভৃত্য যদি তোমার অন্ন প্রস্তুত করে এবং তা নিয়ে তোমার নিকট আসে; যা রান্না করার সময় আগুনের তাপ এবং ধোঁয়া তাকে অনেক কষ্ট দিয়াছে। তখন তাকে তোমার সাথে বসিয়ে খাওয়াবে। খানা যদি শুষ্ক রান্না হইয়া থাকে, তবে তা থেকে তার হাতে এক মুঠি বা দুই মুঠি অবশ্যই তুলে দিবে। (মুসলিম)
এই হাদিস হইতে প্রমাণিত হয় যে, শ্রমিক শ্রমের সাহায্যে মালিকের কাঁচামাল বা মূলধন খাটাইয়া যা উৎপন্ন করে, তা থেকে তাকে নির্দিষ্ট হারে বেতন দেওয়ার পরও আসল মুনাফা হইতে তাকে কিছু না কিছু অংশ দিতে হবে। হাদিসে উল্লিখিত ঘরের বাবুর্চি আর কারখানার শ্রমিকের মধ্যে মূলত কোন পার্থক্য নাই। একজন বাবুর্চিকে খাদ্য রান্নার কাজে যেভাবে মনোযোগ দিতে হয়, দেহ ও চিন্তা শক্তিকে যেভাবে নির্দিষ্ট এক কাজের জন্য নিয়োজিত করতে হয়, কম-বেশি প্রায় তদ্রুপই কারখানার একজন মজুরকেও খাটতে হয়। কাজেই এক হাদিস অনুসারে নির্বিশেষে সকল শ্রমিকই কারখানায় উৎপন্ন দ্রব্য হইতে অংশ পেতে পারে। যে মিলে কাপড় তৈরি হয়, প্রত্যেক শ্রমিককে তার পরিবারবর্গের জন্য বছরে এক বা একাধিক বার কাপড় দেওয়া যেতে পারে। এটি নির্দিষ্ট বেতনের মধ্যে গণ্য হবে না। কারণ প্রায়ই দেখা যায়, কোন মিলে শ্রমিক সকাল-সন্ধ্যা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে থানকে থান কাপড় বুনে অথচ তার নিজের বা তার পরিবারের লোকদের পরিধানে হয়ত ছিন্নবস্ত্রটুকুও নেই। এই হাদিস অনুসারে ইসলামী সামাজে যে শ্রমনীতি কায়েম করা হবে তাতে এই অবাঞ্চিত পরিস্থিতির অবকাশ থাকতে পারবে না। খাদ্য প্রস্তুতকারী পাচকের অভুক্ত থাকা যে ইসলাম বরদাশত করতে পারে না, কারণ খাদ্য প্রস্তুত করবার ব্যাপারে মালিক শুধু দ্রব্যসামগ্রী দিয়াই রেহায় পেয়ে যায়, কিন্তু এটি প্রস্তুত করতে গিয়ে আগুনের উত্তাপ ও ধোঁয়ার জ্বালা পাচককেই ভুগতে হয়। তা হলে যে কারখানায় মজুর শ্রমিকগণ প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে হাজার হাজার থান কাপড় বুনে, সে বা তার পরিবারবর্গ কাপড়ের অভাবে উলঙ্গ থাকবে, আর ওদিকে কারখানা-মালিক তার কুকুরকে পর্যন্ত মখমলে মূল্যবান বস্ত্রে আচ্ছাদিত করে রাখবে, এমন অবিচার ও অসাম্য ব্যবস্থা ইসলাম কিছুতে সমর্থন করতে পারে না। একথা প্রমাণ করতে খুব বেশি যুক্তির দরকার নেই।
ইসলামে মজুর-শ্রমিকদের এই সব অধিকারের কথা স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আরও কয়েকটি হাদিস পাওয়া যায়, যেসবের উপর ভিত্তি করে আধুনিক সমস্যা ও প্রয়োজন অনুপাতে এই সম্পর্কীয় একটি পরিপূর্ণ ও বিস্তারিত বিধান রচনা করা যেতে পারে। আমাদের বক্তব্য শুধু এতটুকু যে, বর্তমান সময় মজুর-শ্রমিকদের এই আকাশ ছোঁয়া জটিল সমস্যাসমূহের সুষ্ঠু ও সুবিচারপূর্ণ সমাধান করতে পারে একমাত্র ইসলাম। ইসলামই মালিক-মজুরের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও শ্রেণি সংগ্রাম অতি সহজেই বন্ধ করতে পারে এবং তিক্ততার পরিবর্তে মধুর সহযোগিতা ও সহানুভূতিমূলক সম্পর্কের সৃষ্টি করতে পারে।
অতএব অনতিবিলম্বে ইসলামী সমাজ-ব্যবস্থা বাস্তবায়িত করা এবং ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মালিক ও মজুরের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করা একান্তই কর্তব্য। আর সেই জন্য সরকার ও কারখানা মালিকগণের তথা সমগ্র দেশবাসীরই প্রাণপণ চেষ্টা করা বাঞ্চনীয়।
আমরা জানি “ইসলামই একমাত্র পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার নাম।” ব্যক্তিগঠন নীতিমালা, পারিবারিক নীতিমালা, সমাজ ব্যবস্থার নীতিমালা, রাষ্ট্রনীতি, আন্তর্জাতিক নীতি, ব্যবসায়িক নীতি, শ্রমিক কল্যাণ নীতিমালাসহ দুনিয়ায় এমন কোন দিক নেই যে বিষয়ে ইসলামের সর্বাধুনিক নীতিমালা বর্ণিত হয়নি, আমরা এও জানি কেবলমাত্র ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলেই শ্রমিক সমস্যাসহ উদ্ভুত সকল সমস্যা সমাধানের দ্বার উন্মোচিত হবে। এ জন্য বিশ্বের প্রায় সকল দেশে (আন্তর্জাতিক ভাবে) স্বীকৃত শ্রমিক সংঘ তথা “ট্রেড ইউনিয়নকে” ইসলামীকরনরূপে শক্তিশালী প্ল্যাটফরম হিসেবে গড়তে হবে, আপামর শ্রমিকদের আস্থার প্রতীকে পরিণত করতে হবে।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শ্রমিক সেবামূলক কাজ বাড়াতে হবে:
১. শ্রমিকদেরকে আইনি সহায়তা দান।
২. চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুর্নবহালের চেষ্টা।
৩. বেকার শ্রমিকদের চাকরির ব্যবস্থা করা।
৪. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার শ্রমিকদের চাকুরির জন্য সক্ষম করে তোলা।
৫. অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার ব্যাপারে সহযোগিতা
৬. শ্রমিকদের সন্তানদের লেখা-পড়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করা।
৭. শ্রমিকদেরকে বিনামূল্যে কুরআন শিক্ষা প্রদান করা।
৮. শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বিনামূল্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা।
৯. শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা।
১০. অসহায় শ্রমিকদের দাফন-কাফনে সহযোগিতা করা।
১১. বন্যা কবলিত এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা।
১২. দুই ঈদে শ্রমিকদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা।
এই কাজগুলো ট্রেড ইউনিয়ন ভিত্তিক হলে সেবার পরিধি নিসঃন্দেহে বৃদ্ধি পাবে।
শ্রমিক তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে শ্রমিক সংঘ গড়ে তোলে তার কার্যাবলিকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাÑ
ক. কল্যাণমূলক কার্যাবলি: শিক্ষা, বিনোদন, কারিগরি প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা, আর্থিক তহবিল।
খ. সংগ্রামমূলক কার্যাবলি: দর কষাকষি, উপযুক্ত মজুরি আদায়, নির্যাতন বন্ধ, চাকরির নিরাপত্তা, কাজের সময়সীমা, আন্দোলন ইত্যাদি।
গ. রাজনৈতিক কার্যাবলি: আইন প্রণয়ন, দল গঠন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব।
ঘ. আপসমূলক কার্যাবলি: দাবির সুন্দর সমাধান।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকপন্থায় পরিচালনা করা। তাছাড়া একথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা যায় যে, ইসলামী শ্রম আইন প্রতিষ্ঠা ব্যতিরেকে প্রকৃত অর্থে শ্রমিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।
ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামীকরণের পাশাপাশি আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তা নিম্মে তুলে ধরা হলো:
১. ব্যাপক ভিত্তিক ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াতের সম্প্রসারণ।
২. আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক অঙ্গনে জনমত গঠন।
৩. দ্বীনি অনুভূতি জাগ্রত করা।
৪. ইসলামী আইনের সুফল সম্পর্কে অবহিত করা।
৫. কোরআন সুন্নাহ অনুশীলন করতে শ্রমিকদের উদ্ধুদ্ধ করন।
৬. মানবরচিত আইনের অসারতা তুলে ধরা।
৭. ইসলামী শ্রম বিপ্লবে শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করা।
৮. ইসলামী শ্রমনীতি শিক্ষা দেওয়া।
৯. ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ডি-ফরম ব্যাপক ভিত্তিক পূরণ করে ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করা।
১০. শ্রমিক মালিকের সু-সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা। নিজেদের মডেল রূপে পেশ করা।
১১. সর্বমহলের শ্রমিকদের খোঁজ খবর রাখা ও উপহার প্রদান।
১২. ইসলামী অনুশীলন চর্চাসহ মডেল শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
১৩. চাকরিহারা অসহায় শ্রমিকদের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া।
শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জীবন-বিধান ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকারের কথা বিধৃত হয়েছে বিশদভাবে। শ্রমিকদের প্রতি সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম শ্রমের প্রতি কিভাবে মানুষকে উৎসাহিত করেছে: মহান আল্লাহ বলছেন;
“অতঃপর যখন নামাজ শেষ হয়ে যায়, তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহ করুণাভাÐার থেকে অন্বেষণ করো। আর আল্লাহকে প্রচুরভাবে স্মরণ করো, যাতে তোমাদের সফলতা প্রদান করা হয়।” (সুরা জুমুআহ: ১০)। এই আয়াত হতে বুঝা যায় যে, ইসলামে শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ নামাজ শেষ করেই কাজের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে। আসুন আমরা ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ি, উন্মাদনায় পাগলপারা হয়ে কাজে অবতীর্ণ হই।
শ্রমিক আন্দোলনের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে ইসলামী শ্রমনীতির সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। শ্রমিক দিবসের অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও সারা পৃথিবীর শ্রমিকরা ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায়নি। ইসলামী শ্রমনীতি চালু হলেই কেবল শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে। তাই শ্রমিক আন্দোলনের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে ইসলামী শ্রমনীতির সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে একটি কল্যাণময় ইসসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে হবে। শ্রমিক অঙ্গনে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক, উৎপাদনশীলতা ও জাতীয় উন্নয়নে ট্রেড ইউনিয়ন সমূহকে অবদান রাখতে আরও নিষ্ঠাপরায়ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সমাজবাদ ও পুঁজিবাদের ব্যর্থতায় মেহনতি শ্রমিক সমাজ ইসলামী শ্রমনীতির নতুন ধারায় ফিরে আসতে চায়। এ পথই ন্যায় ও সুবিচার পূর্ণ সমাজ ও আর্থ-সামাজিক উন্নত দিনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। ইসলামী পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা কায়েম হলেই কেবল ইসলামী শ্রমনীতিসহ সব দিক ও বিভাগ চালু হওয়া সম্ভব। তাই আমাদেরকে ইসলামী শ্রমনীতির সুফল জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করার পাশাপাশি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকেও একই সাথে এগিয়ে নিতে হবে।
শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় শ্রমিকদের অংশ প্রদান করতে হবে। বন্ধ মিল কারখানা চালু করতে হবে। কল কারখানায় ঝুঁকিমুক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি আহত ও নিহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে এবং আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করে সকল শ্রম পেশায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে। আমীন।
লেখক: কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন