বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, কুমিল্লা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেনসহ বিভিন্নস্থানে শ্রমিকনেতাদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
আজ এক যৌথ বিবৃতিতে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। নেতৃদ্বয় বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন একটি আদর্শিক শ্রমিক সংগঠন। এই সংগঠন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এই সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নামে সমাজ-রাষ্ট্রবিরোধী কোনো মামলা নেই। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পুলিশকে ব্যবহার করছে। এটি একটি রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। আমরা মনে করি পুলিশ জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। তারা জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কাম্য নয়। বিশেষত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ন্যাক্কারজনক অবস্থান মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে পুলিশের জনবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, শ্রমিকনেতাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না। বিনা কারণে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। আমরা আশাকরি সরকারের ইশারায় পরিচালিত না হয়ে পুলিশ তার স্বাতন্ত্র বজায় রাখতে আগামী দিনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য এছাড়াও গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর মেট্রো সদর দক্ষিণ থানার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, যশোর জেলা পূর্বের নির্বাহী সদস্য বেলাল হোসেন, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা সভাপতি মুক্তার হোসাইন, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মন্ডল, বগুড়া শহরের শ্রমিকনেতা আরিফুল ইসলামসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।