বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, প্রতি বছর বর্ষার সময়ে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনে দুর্যোগ বয়ে আসে। অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটার পাশাপাশি সম্পদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় এ অঞ্চলের বিপদগ্রস্ত মানুষের জীবন রক্ষার জন্য রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার উদ্যোগে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন কালে এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. অলিউর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মো. তসলিম, জেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের সভাপতি ইউসুফ বিন আবুবকরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, রাষ্ট্রকে হতে হবে জনগণের রক্ষাকবচ। রাষ্ট্রের কর্তারা হবেন জনগণের সেবক। বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিতরা সেবক না হয়ে মালিক বনে গেছে। ফলে শুধু পার্বত্য জেলায় নয় সারাদেশে দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে রাষ্ট্রের হর্তা-কর্তাদের দেখা যায় না। তারা মানুষের বিপদের সময় চোখ বন্ধ করে থাকে। তারা ঘরে বসে শুধু মানুষের দোষ খুঁজে। অথচ প্রতিটি দুর্যোগে কত মানুষ তাদের স্বজন ও সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে দুর্যোগ কবলিত একটি দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষদের রক্ষা করার জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। দুর্যোগ প্রবণ এলাকা থেকে মানব বসতি সরিয়ে নিতে হবে। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ এড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। সরকারি দলের লোকজন পাহাড়ের বন কেটে উজাড় করে ফেলছে। পাহাড় থেকে পাথর মাটি সরিয়ে পাহাড়কে দুর্বল করে দিচ্ছে। এসব কাজ অনৈতিক ও ঘোরতর অপরাধ। এসব অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগকালীন সময় ধৈর্য ও সালাতের সাথে অতিক্রম করতে হবে। প্রতিনিয়ত আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। তিনি নিশ্চয় বান্দার আবেদন ফিরিয়ে দিবেন না।