• প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সাংগঠনিক কাঠামো
    • কেন্দ্রীয় সংগঠন
    • কেন্দ্রীয় সভাপতি
    • সাধারণ সম্পাদক
    • কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • কার্যকরী পরিষদ
  • শাখা সংগঠন
    • মহানগর
    • জেলা
    • উপজেলা
    • সাংগঠনিক স্তর
    • অঞ্চল
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • সংবাদ
    • সকল সংবাদ
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • অন্যান্য
  • ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম
    • পরিবহন
    • গার্মেন্টস
    • রিকশা
    • কৃষি ও মৎস্য
    • নৌ পরিবহন
    • রেলওয়ে
    • দর্জি
    • ইমারত/নির্মাণ
    • চাতাল
    • স্থল বন্দর
    • দোকান কর্মচারী
    • হকার্স
    • হোটেল কর্মচারী
    • হাসপাতাল শ্রমিক
    • পাটকল শ্রমিক
    • ফার্নিচার
    • তাঁত শ্রমিক
    • বিটিসিএল
    • ব্যাংক কর্মচারী
    • স্টিল এন্ড রি-রোলিং শ্রমিক
    • লোড আনলোড/কুলি
    • অন্যান্য
  • প্রকাশনা
    • নববর্ষ
    • বই
    • পোস্টার
    • বিজ্ঞাপন
    • ক্যালেন্ডার
    • দাওয়াতি স্টিকার
    • লিফলেট
    • স্মারক/স্মরণিকা
    • অন্যান্য
  • দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা
  • আর্কাইভ
    • কুরআনের শিক্ষা
    • হাদিসের শিক্ষা
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
  • যোগাযোগ
English
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
No Result
View All Result
No Result
View All Result
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
No Result
View All Result

ফার্নিচার শ্রমিকের ইতিবৃত্ত ও আমাদের করণীয়

অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মতিন

skalyanad by skalyanad
নভেম্বর ৫, ২০২৩
in আর্কাইভ, গ্যালারি, ছবি, প্রবন্ধ/নিবন্ধ
0
ফার্নিচার শ্রমিকের ইতিবৃত্ত ও আমাদের করণীয়
0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

আধুনিক বিকাশমান সভ্যতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিশীল ও উন্নত রুচিশীল শিল্প হিসেবে বাংলাদেশের শিল্প শ্রম সেক্টরে ফর্নিচার সেক্টর বিবেচিত হলেও এ সেক্টরের শ্রমিকগণ দেশের ছয় কোটি আশি লক্ষ্য শ্রমজীবী মানুষের মতোই হতাশা নিরাশার বধ্যভ‚মিতে মানবেতর জীবনের নীরব কান্নার সাথী। মালিক ও শাসক গোষ্ঠীর শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, আশাহত ও অবমূল্যায়িত। এ পেশার শ্রমিকদের গুরুত্ব, মর্যাদা, সমস্যা ও করণীয় নিয়ে আমার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ শ্রমিক ৪০ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠানে মাসিক বেতন ও দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরও হাজার হাজার শ্রমিক রয়েছে যারা এই শিল্পের কারুকার্য, বিপনন ও বাজার ব্যবস্থার সাথে জড়িত রয়েছে। তাদেরকেও আমরা এই পেশার শ্রমিক হিসেবে গণ্য করে থাকি। সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে এই শিল্প সেক্টরের অভিনব নান্দনিক পরিবর্তন এসেছে। শৈল্পিক কারুকার্য করা চেয়ার, টেবিল, আলমিরা, খাট পালঙ্ক, বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির উপাদান হিসেবে এর কদর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু দিন আগেও যেখানে শুধু বাঁশ, বেত ও কাঠের ফার্নিচার ব্যবহৃত হতো আজকাল সেখানে এগুলোর পাশাপাশি উন্নত মানের মেলামাইন পারটেক্স, প্লাস্টিক ও ধাতু জাতীয় দ্রব্যের ফার্নিচার জায়গা করে নিচ্ছে।

পেশার উৎপত্তি ও বিকাশ
বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের এটি একটি পুরাতন পেশা। বাংলাদেশ যখন বঙ্গ নামে অভিহিত হতো তখন ফার্নিচার শব্দের প্রচলন ছিল না; তখন এই পেশায় যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে বলা হতো সূত্রধর। সূত্রধর সাংস্কৃতিক শব্দ। এই সংস্কৃত শব্দ সূত্রধর থেকে ছুতোর শব্দের উৎপত্তি। কারো কারো মতে প্রাচীনকালে কাঠের আসবাবপত্র বানানোর জন্য সুতো দিয়ে মাপ-জোখ করা হতো এবং সুতোর মাপের মাধ্যমে কাঠের উপরে কারুকার্য বা নকশা করা হতো। যেহেতু সুতো দিয়ে মাপ ও নকশার কাজ করা হতো তাই বলা হত সূত্রধর। আসবাবপত্র বাননোর প্রাচীন এ পেশাকে এখনও গ্রামীণ ভাষায় ছুতোর বলা হয়ে থাকে। ছুতোর শব্দের ইংরেজি হলো কার্পেন্টার। কার্পেন্টার অর্থ কাঠ মিস্ত্রি বা যারা কাঠের কাজ করে থাকেন। অপরদিকে ফার্নিচার শব্দটি ইংরেজি শব্দ এবং এর অর্থ হল আসবাবপত্র ও সরঞ্জামাদি। যেহেতু এক সময় কাঠের ব্যাপক প্রচলন ছিল এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্র গৃহ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতো তাই ইংরেজ আমলে ফার্নিচার এবং কার্পেন্টার এই শব্দ দুটি বাংলা ভাষায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

ফার্নিচার সেক্টরের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা বালাদের ৪ নাম্বার আয়াতে বলেন, “আসলে আমি মানুষকে কষ্ট ও পরিশ্রমের মধ্যে সৃষ্টি করেছি।” কাজেই সকল পেশা বা শ্রম মহান আল্লাহর নিকট অতীব মর্যাদাবান। সৎ, ন্যায় ও নায্য শ্রমের মাধ্যমেই এই পৃথিবীতে যেমন সভ্যতার ফল্গুধারা প্রবাহিত হয়। তেমনি আবার অন্যায় ও অসৎ শ্রমের কারণে পৃথিবীতে মাঝেমধ্যে বিপর্যয় নেমে আসে। তাই নায্য ও ন্যায় শ্রমকে ইসলামের দৃষ্টিতে ইবাদত হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। আজকের আলোচনায় প্রথমে দৃষ্টি দিবো মহান আল্লাহর প্রিয় নবি রাসুলগণের মধ্যে এই পবিত্র পেশার কারা জড়িত ছিলেন। পবিত্র কুরআনের পাতা থেকে আমরা জানতে পারি আল্লার প্রিয় নবি নুহ (আ.) এই কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে নৌকা তৈরির কলা কৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন। আল্লাহর বাণী “আর তুমি আমার তত্ত¡াবধানে ও আমার ওহি অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ কর” (সুরা রা’দ: ৩৭)। তিনি মহান আল্লাহর নির্দেশে তার কওমের অসৎ ও খোদা বিমুখ লোকদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য গফার নামক কাঠ দিয়ে এক বিশাল নৌকা তৈরি করেছিলেন। যা ছিল ৪৫০ ফুট লম্বা, ৭৫ ফুট চওড়া এবং ৪৫ ফুট উঁচু। যাতে তিনটি ডেক এবং অন্তঃসহ প্রকোষ্ঠ এবং প্রবেশের জন্য একধিক প্রবেশপথ ছিল। হযরত নুহ (আ.) তার সঙ্গী-সাথীদেরকে নিয়ে এই মহৎ কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন । তাই বলা যায় তিনি একাই এ পেশার শ্রমিক ছিলেন না বরং তার সঙ্গী সাথীরাও এই পেশার শ্রমিক ছিলেন। আল্লাহর আরও একজন প্রিয় নবি এ কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি হলেন হযরত জাকারিয়া (আ.)। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, “রাসুলুল্লা (সা.) বলেছেন জাকারিয়া (আ.) কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাই তাকে তাঁর শত্রুরা তাঁর করাত দিয়ে তাঁকে দ্বিখণ্ডিত করেন” (সহিহ বুখারি)। মহান আল্লাহর দু’জন প্রিয় নবি এ পেশার সাথে জড়িত থেকে বিশ্ববাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন মহান আল্লাহর নিকট সকল পেশার মর্যাদা সমান। কোন পেশাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

তাই বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ৩৩ টি পেশার মধ্যে থেকে গুরুত্ব বিবেচনা করে ফার্নিচার বা কার্পেন্টার পেশার শ্রমিকদেরকে সংগঠিত করা এবং তাদের মাঝে ইসলামি শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার অনুভ‚তি জাগ্রত করা ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে জোরদার করা আমাদের একান্ত কর্তব্য ও সময়ের অপরিহার্য দাবি।

এই কাঠের কাজের আসবাবপত্রই এক সময় গৃহের সাজ সজ্জা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পল্লী কবি জসিমউদ্দীন তার কবিতায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পিঁড়ে ফার্নিচার এর কথা উল্লেখ করেছেন। “আমার বাড়ি যাইও ভোমর, বসতে দিব পিঁড়ে, জল পান যে করতে দিব শালি ধানের চিঁড়ে।” তাছাড়া গ্রামের মা বোনেরা পিঁড়েতে বসে চুলায় রান্না বান্না করে। পিঁড়িতে বসে দল বেঁধে গল্প করে থাকে। বসত বাড়ির সেই কাঠের পিঁড়ি থেকে শুরু করে কারূ কার্যখচিত রাজ সিংহাসন ও রাজার খাট পালঙ্ক সবই কাঠের তৈরি। মসজিদের ইমামগণ নামাজের পূর্বে যে মিম্বারে দাঁড়িয়ে খুতবা দেন সেটিও কাঠের তৈরি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার সময় যে কাট খণ্ডটির উপর রেখে পবিত্র কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা হয় যাকে আমরা রেহেল বলি এটিও কাঠের তৈরি, মানুষ মারা গেলে তাকে দাফন করার জন্য যে বাহনটি বহন করা হয় যাকে খাটিয়া বলা হয়ে থাকে তাও ছিল এক সময় কাঠের তৈরি। এখন যদিও স্টিলের খাটিয়া তৈরি হয়। তথাপি সেটাও কিন্তু ফার্নিচারের মধ্যে পড়ে। বসার পিঁড়ে থেকে মৃত্যুর খাটিয়া কিংবা রাজার সিংহাসন সবকিছুতেই রয়েছে এই সেক্টরের শ্রমিকদের হাতের ছোঁয়া। তাদের তৈরিকৃত জিনিস ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ যেমন আনন্দ উপভোগ করছে ও তেমনি বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনও পূরণ করছে। আবার বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার ও তাদের হাতের তৈরি জিনিস বিদেশে রপ্তানি করে বিদেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে।

এ শিল্পের সমস্যা ও আমাদের করণীয়:
১.সনাতন ব্যবস্থার পরিবর্তন ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
আমাদের দেশের শ্রমিকগণ শিক্ষাদীক্ষা ও অভিজ্ঞতাই তুলনামূলক কম, তারা বংশ পরম্পরায় ও গতানুগতিক সনাতন পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে ফলে পরিশ্রমের তুলনায় প্রাপ্ত মজুরি এতটাই কম যে তা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ মাধ্যমে কাজের সনাতনী পদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের করে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। কারণ আধুনিক সভ্যতায় প্রতিদিন মানুষের রুচি, চাহিদা ও মননশীলতার পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়া এখন অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হয়েছে যার মাধ্যমে স্বল্প সময়ে কম খরচে বেশি উৎপাদন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি এবং ফার্নিচার সেক্টরের শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে প্রতিটি উৎপাদিত পণ্য মানসম্মতভাবে তৈরি করে দেশের চাহিদা পূরণ ও বিদেশে রপ্তানি করা যায় এবং উন্নত বিশ্বের মানুষের রুচির সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব হয়।

২.রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অব্যবস্থাপনা দূরীকরণ:
ফার্নিচার শিল্প রাষ্ট্রের একটি সম্ভাবনাময় আয়বর্ধনমূলক খাত হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রের অবহেলা ও দুর্বল সিদ্ধান্তের কারণে অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। যদি এই খাতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় এবং উচ্চহারের শুল্ক আরোপের প্রবণতা থেকে বের হয়ে এসে এ শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করা সহজলভ্য করা যায় তাহলে পণ্য তৈরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং এ শিল্প লাভজনক শিল্পে পরিণত হবে। যখন কারখানার মালিকগণ কম খরচে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করতে পারবে, তখন শ্রমিকদের কে পূর্ণমাত্রায় মজুরি দিতে পারবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উচ্চ হারে শুল্ক বা ঋণের চাপ, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা ও নীরব চাঁদাবাজির কারণে সঠিকভাবে পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না, কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং মালিক-শ্রমিক উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এখাতে স্বল্প মুনাফা সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজি সরবরাহ করা, নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থচালু করা ও নীরব চাঁদাবাজি রোধ করা এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য একান্ত আবশ্যক।

৩. নিয়োগ ও বোনাস ব্যবস্থার চালুকরণ:
যারা কারখানার শ্রমিক একই মালিকের অধীনে বছরে পর বছর কাজ করে কিন্তু তাদের কোন নিয়োগের ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা যেমন নির্দিষ্ট হারে কোন বেতন পান না। ঠিক তেমনি ঈদ বা কোন উৎসবে বাড়তি কোন সুযোগ সুবিধাও পায় না বা বোনাসের কোন ব্যবস্থাও নেই। যা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অমানবিক ও অনৈতিক। তাই যারা কারখানার নিয়মিত শ্রমিক তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও বোনাস ব্যবস্থা চালু করা একান্ত প্রয়োজন।

৪. শ্রম আইনের অনুসরণ ও কর্মোপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতকরণ:
যে সমস্ত শ্রমিকগণ কারখানায় নিয়মিত কাজ করেন এবং কারখানার আইন অনুসারে একজন শ্রমিক যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হওয়ার কথা তারা সেইসব অধিকার ও সুযোগ থেকে অনেকাংশেই বঞ্চিত। কাজেই কারখানা আইন অনুসারে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ সুবিধাটুকুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। যেমন কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি ও পয়নিষ্কাশন এর সুব্যবস্থা থাকা।

৫. অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ:
যুগ যুগ ধরে নিজেদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে এ সেক্টরের উন্নয়ন ও উৎপাদনের অগ্রযাত্রাকে যারা অব্যাহত রেখেছে অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থার কারণে আজ তারা নানাবিধ হতাশা নিরাশার মাঝে বুকের ভেতর হাজারো কষ্ট চেপে রেখে অত্যন্ত মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছে এমতাবস্থায় বাজার ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা একান্ত আবশ্যক।

পরিশেষে বলতে চাই বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় সেক্টরের শ্রমিকগণ যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা ও অদূরদর্শিতা এবং মালিকপক্ষের অবহেলা, অনিয়ম, সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কোপানলে পড়ে মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তিলে তিলে নিঃশ্বাস না হয়ে যায়। তাই আসুন আমরা এই সেক্টরের শ্রমিকদের উন্নত জীবন নিয়ে ভাবি। শ্রমিকের জীবনে সুখ-শান্তি, স্বাচ্ছন্দ সমৃদ্ধি আসলেই দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে। আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো। ইনশাআল্লাহ।

লেখক: কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

Previous Post

তুরস্কে শ্রমিক আন্দোলনের উপকথা (প্রথম পর্ব)

Next Post

মৎস্য উৎপাদন : জীবিকা ও পেশাদারিত্ব

Next Post
মৎস্য উৎপাদন : জীবিকা ও পেশাদারিত্ব

মৎস্য উৎপাদন : জীবিকা ও পেশাদারিত্ব

সর্বশেষ সংযোজন

শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

by skalyanad
এপ্রিল ১৮, ২০২৪
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শ্রমজীবী ভাইবোনদের মাঝে ইসলামের সুমহান আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে। আসন্ন...

শ্রমজীবী মানুষ ও দেশবাসীকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

শ্রমজীবী মানুষ ও দেশবাসীকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

by skalyanad
এপ্রিল ৮, ২০২৪
0

দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ, দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।...

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

by skalyanad
মার্চ ২৮, ২০২৪
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষরা সর্বক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত। তাদের অধিকার আদায়ের...

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

by skalyanad
মার্চ ২৭, ২০২৪
0

আসন্ন ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে যে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য রাষ্ট্র ও মালিকদের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার...

স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

by skalyanad
মার্চ ২৬, ২০২৪
0

এদেশের শ্রমজীবী মানুষের সস্ত্রশ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে। কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ শ্রমজীবী মানুষরা পায়নি। রাজনৈতিক বিভেদ স্বাধীনতাকে...

  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
  • সাংগঠনিক কাঠামো
  • শাখা সংগঠন
  • ট্রেড ইউনিয়ন
  • সংবাদ
  • ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম
  • প্রকাশনা
  • দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা
  • আর্কাইভ
  • যোগাযোগ

কপিরাইট © 2024 বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন.

Design and Developed by Bijoylab IT| Contact:+01818 650864
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সাংগঠনিক কাঠামো
    • কেন্দ্রীয় সংগঠন
    • কেন্দ্রীয় সভাপতি
    • সাধারণ সম্পাদক
    • কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • কার্যকরী পরিষদ
  • শাখা সংগঠন
    • মহানগর
    • জেলা
    • উপজেলা
    • সাংগঠনিক স্তর
    • অঞ্চল
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • সংবাদ
    • সকল সংবাদ
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • অন্যান্য
  • ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম
    • পরিবহন
    • গার্মেন্টস
    • রিকশা
    • কৃষি ও মৎস্য
    • নৌ পরিবহন
    • রেলওয়ে
    • দর্জি
    • ইমারত/নির্মাণ
    • চাতাল
    • স্থল বন্দর
    • দোকান কর্মচারী
    • হকার্স
    • হোটেল কর্মচারী
    • হাসপাতাল শ্রমিক
    • পাটকল শ্রমিক
    • ফার্নিচার
    • তাঁত শ্রমিক
    • বিটিসিএল
    • ব্যাংক কর্মচারী
    • স্টিল এন্ড রি-রোলিং শ্রমিক
    • লোড আনলোড/কুলি
    • অন্যান্য
  • প্রকাশনা
    • নববর্ষ
    • বই
    • পোস্টার
    • বিজ্ঞাপন
    • ক্যালেন্ডার
    • দাওয়াতি স্টিকার
    • লিফলেট
    • স্মারক/স্মরণিকা
    • অন্যান্য
  • দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা
  • আর্কাইভ
    • কুরআনের শিক্ষা
    • হাদিসের শিক্ষা
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
  • যোগাযোগ
English

কপিরাইট © 2024 বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন.