• প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সাংগঠনিক কাঠামো
    • কেন্দ্রীয় সংগঠন
    • কেন্দ্রীয় সভাপতি
    • সাধারণ সম্পাদক
    • কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • কার্যকরী পরিষদ
  • শাখা সংগঠন
    • মহানগর
    • জেলা
    • উপজেলা
    • সাংগঠনিক স্তর
    • অঞ্চল
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • সংবাদ
    • সকল সংবাদ
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • অন্যান্য
  • ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম
    • পরিবহন
    • গার্মেন্টস
    • রিকশা
    • কৃষি ও মৎস্য
    • নৌ পরিবহন
    • রেলওয়ে
    • দর্জি
    • ইমারত/নির্মাণ
    • চাতাল
    • স্থল বন্দর
    • দোকান কর্মচারী
    • হকার্স
    • হোটেল কর্মচারী
    • হাসপাতাল শ্রমিক
    • পাটকল শ্রমিক
    • ফার্নিচার
    • তাঁত শ্রমিক
    • বিটিসিএল
    • ব্যাংক কর্মচারী
    • স্টিল এন্ড রি-রোলিং শ্রমিক
    • লোড আনলোড/কুলি
    • অন্যান্য
  • প্রকাশনা
    • নববর্ষ
    • বই
    • পোস্টার
    • বিজ্ঞাপন
    • ক্যালেন্ডার
    • দাওয়াতি স্টিকার
    • লিফলেট
    • স্মারক/স্মরণিকা
    • অন্যান্য
  • দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা
  • আর্কাইভ
    • কুরআনের শিক্ষা
    • হাদিসের শিক্ষা
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
  • যোগাযোগ
English
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
No Result
View All Result
No Result
View All Result
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
No Result
View All Result

বিজয়ের লাল সূর্য এখনো আলো ফেলেনি যাদের জীবনে

মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান

skalyanad by skalyanad
জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
in আর্কাইভ, গ্যালারি, ছবি, প্রবন্ধ/নিবন্ধ
0
বিজয়ের লাল সূর্য এখনো আলো ফেলেনি যাদের জীবনে
0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

বিজয় একটি অতি প্রিয় শব্দ; যে কোনো বিজয় মানুষের হৃদয়ে আনন্দের দোলা দেয়। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের লাল পতাকা হাতে পেয়েছে। দীর্ঘ সংগ্রাম, লড়াই, আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয়। সাম্য, মর্যাদা আর গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের তীব্র বাসনা থেকে স্বাধীকার আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উৎসারিত হয়। বিজয়, ভালো লাগা ভালোবাসার এক অতি প্রিয় শব্দ। এক বুক আশা আর আকাশসম প্রত্যাশাকে পুঁজি করে বিজয় অর্জন করেছে এ দেশের মানুষ। বিজয়ের বায়ান্ন বসন্ত পেরিয়ে আজো প্রতি ক্ষণে তার নতুন হিসেব মেলাতে গিয়ে লাভের ঝোলায় তেমন আশার কিছু পাওয়া যায় না। যে শিশুটি বিজয় দেখেনি, যে দেখেনি স্বাধীনতা যুদ্ধ কিংবা যদি বলি বিজয়ের পরের বসন্তে যার জন্ম সে আজ একান্ন বছর বয়সী এক বয়স্ক মানুষ। প্রত্যাশার পারদে আমাদের হতাশার নিক্তিটা সামনের দিকে ঝুলে আছে। বলা হয়ে থাকে ৭০-এর নির্বাচনী ফলাফল না মানার কারণে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আজ বাংলাদেশের হাজারো সমস্যার মাঝে সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক সমস্যা জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। পারছে না, মতামত ব্যক্ত করতে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে স্বাধীন চলাফেরায়ও বাধা-নিষেধ আরোপের বিষয়টি প্রায়ই নজরে আসে। স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদিজাকে এক বছরের অধিক সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে। সামান্য কয়েকটি টাকা ঋণ বকেয়া পড়ায় এ দেশে কৃষকের কোমরে রশি বেঁধে নিয়ে আনা হয়, যেখানে হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপীরা মনের সুখে ঘুরে বেড়োয়। কাজের ন্যায্য মজুরি চাওয়ায় যেখানে পুলিশের গুলিতে জীবন দিতে হয়। বহুজাতিক কোম্পানির লোলুপ দৃষ্টি থেকে দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশকে বাঁচাতে এখানে শ্রমিককে জীবন দিতে হয়েছে। বিজয়ের বায়ান্ন বছর পেরিয়ে তেপ্পান্নতম দিবসে হতাশার কালো মেঘগুলো সামনে এসে দাঁড়ায়।

বিজয়ের তেপ্পান্ন বসন্তে এখনো প্রতিনিয়ত নির্যাতন নিপীড়নের শিকার শ্রমজীবী মানুষেরা। গার্মেন্টস শ্রমিকরা গুলি, টিয়ারসেল, জলকামান আর এ পি সি-র সামনে দাঁড়িয়ে যায় ন্যূনতম মজুরির অধিকার আদায়ের জন্য। আঞ্জুয়ারা খাতুন, রাসেল হাওলাদার আর জালালরা খুঁজে ফেরে দু’মুঠো ভাতের দাম, পরিণামে লাশ হয়ে ফেরে প্রিয়জনের কাছে। লাশ আর আহতদের গোঙানির পাশে দাঁড়িয়ে এখনো ওরা স্লোগান তোলে ন্যূনতম মজুরির জন্য। বিলাস-ব্যসনহীন জীবনে কোনোমতে বেঁচে থাকার নিরন্তণ সংগ্রামরত শ্রমজীবী মানুষগুলোর কাছে জীবনের মূল্য বোঝার মতো বোধ কতটুকু তা মোটা দাগের প্রশ্ন। জীবনের সব স্বপ্নকে যারা জলাঞ্জলি দেয় শুধু দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য। জীবন যুদ্ধ আর ঝুঁকিপূর্ণ লড়াইয়ে যারা দিনশেষে কখনো উনুন জালায় আবার কখনো না খেয়ে দিন পার করে, তাদের কাছে বিজয় এবং বিজয় দিবসের কতটুকুই বা মূল্য আছে। নভেম্বর মাসের শুরুতে ঢাকার আশুলিয়া, উত্তরা, মিরপুর এবং গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যূনতম তেইশ হাজার টাকা মাসিক বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামে। বিজিএমই কর্তৃপক্ষ যা নির্ধারণ করেছিল সাড়ে বারো হাজার টাকা। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে যা দিয়ে একটি ছোট পরিবারেরও এক মাসের শুধু খাওয়া খরচ জোটানো সম্ভব নয়।

সামান্য খাবারের খোঁজে বনি আদম ডাস্টবিনে কুকুরের সাথে লড়াই করে। ফুটপাতে যার জীবন কাটে, চাকুরি না পেয়ে যে হতাশ যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাদের জীবনে বিজয় দিবস কী বার্তা দেয়। ভাত ও ভোটের অধিকার অধিকার দাবি করায় যারা লক্ষাধিক মামলা মাথায় নিয়ে দিন গুজরান করে তাদের জীবনে বিজয় দিবস কী বার্তা দেয়।

অতি নিম্মবিত্ত মানুষেরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত শুধু তাদের বাজেট সংকোচন করেন। তাদের সংকোচননীতির বাজারের ঊর্ধ্বগতির সাথে তাল মেলাতে পারে না বলে অনেক সময়ই কুলিয়ে উঠতে পারে না। নিম্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা কম মূল্যের মধ্যে আগে ব্রয়লার মুরগি এবং পাঙ্গাস মাছ কিনে খেত। এ দুটি পণ্যের দাম বেড়ে যাবার পর তারা ডিম সবজীর ওপর ভরসা করেছে অনেক দিন। এখন ডিমও তাদের নাগালের বাইরে। বর্তমানে গার্মেন্টসগুলোতে শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ম ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত আছে। শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি তাদের বেতন বাড়াতে হবে। তারা আহামরি কোনো দাবি করেনি। বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে এতটুকু মজুরি নির্ধারণ করা হোক, যাতে তারা অন্তত একটু মাথা গোঁজার ঠাই পায়, দুবেলা খেতে পারে। একটি ছোট পরিবার যদি এক রুমের একটি বাসা ভাড়া নেয়, তাতেও ঢাকা এবং ঢাকার পার্শবর্তী এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় হাজারের নিচে কোনো রুম পাওয়া যায় না। বাসা ভাড়া দেবার পর শুধু সবজি দিয়েও যদি দুবেলা পেটপুরে ভাত খেতে চায় তবে দুর্মূল্যের বাজারে বিশ-বাইশ হাজার টাকা প্রয়োজন। থাকা এবং খাবারের সংস্থান করার পর সন্তানদের লেখা পড়া করানো তাদের কাছে বিলাসিতাই মনে হয়। হররোজ যাদের জীবনে পরাজয়ের গ্লানি, নিরন্তর সংগ্রাম আর কষ্টের লোবানে পোড়া যাদের জীবন তারা বিজয়ের স্বাদ গন্ধ নেওয়ার সময় পাবে কখন?

শ্রমিকদের আন্দোলনের শুরু থেকেই পুলিশ ছিল মারমুখী। পুলিশ কেন গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি মারমুখো ছিল এর কোনো জবাব তাদের কাছে নেই। শ্রমিকরা প্রথম যখন রাস্তা অবরোধ করে তাদের সরাতে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে। শক্তি প্রয়োগে সব সমস্যার সমাধান করা যেন পুলিশের নীতি হয়ে গেছে। পুলিশের গুলিতে অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়। অর্ধমাস ব্যাপী চলা শ্রমিক আন্দোলনে মোট তিনজন শ্রমিক মারা যায়। এদের একজন আঞ্জুয়ারা খাতুন। আঞ্জুয়ারা খাতুন ছোট একটি সংসার। স্বামী-স্ত্রী দুজনই শ্রমজীবী মানুষ। দুজনের আয়ে কোনোরকমে সংসার চলে তাদের। ন্যূনতম মজুরি আদায়ের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হলে অন্য অনেক শ্রমিকের সাথে আঞ্জুয়ার খাতুনও যুক্ত হয়। হাসপাতালে লাশ দেখতে গিয়ে তার স্বামী বলেছিল, আমার স্ত্রী তো রাজনীতি করে না। সে তো সরকার পতনের দাবি করেনি, মজুরি বৃদ্ধির দাবি করেছিলো। এ জন্য তাকে মেরে ফেলতে হবে? আঞ্জুয়ারা খাতুনের মৃত্যু এবং তার স্বামীর আক্ষেপের মাঝে অনেক জবাব লুকিয়ে আছে। শ্রমজীবী এই পরিবারটি মনে করে রাজনীতি করলে, সরকার পতনের আন্দোলন করলে তাদেরকে পুলিশ গুলি করতে পারে। গুলি করার অধিকার পুলিশের আছে, অথবা মনে হতে পারে, যারা সরকার পতনের দাবি করছে তাদের এই দাবি অন্যায় দাবি, অতএব তাদের মারা বা মেরে ফেলা বড়ো কোনো অপরাধ নয়। মূলত আমরা এক আজব ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সময়কে পাড় করছি। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর যে বিজয় অর্জিত হলো, তার মানে কি এই যে, এই দেশে রাজনীতি করলে বা সরকার পতনের দাবিকরলে তাদের মেরে ফেলা যাবে? অথচ এ দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষের মনে এই চিন্তা ও ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে। এ দেশের মুক্তিকামী জনতা এই বিজয় তো চায়নি। তারা স্বাধীন জীবন যাপন, মুক্ত-স্বাধীনভাবে কথা বলা, নিজের মত প্রকাশ করা, নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে যে কোনো অধিকার ও ন্যায্যতা ফিরে পাবার জন্যই ১৯৭১ সালের বিজয় দিবসকে হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলো। তেপ্পান্œ বছর পর আজও সেই একই প্রশ্ন আমরা আমাদের অধিকার কবে ফিরে পাবো?

গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে তিনজন শ্রমিক মারা যাওয়া এবং শত শত শ্রমিক আহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশীয় মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী এবং যারা নিজেদেরকে সুশীল বলে দাবি করে তাদের তেমন কোনো জোড়ালো বক্তব্য আমরা পাইনি। তিনজন নিহত শ্রমিকের মধ্যে একজন ছিলেন নারী। বাংলাদেশে অনেকগুলো নারী সংগঠন আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, সামান্য কারণে তারা বক্তব্য, বিবৃতি, সমাবেশ, সেমিনার, মিছিল অনেক কিছু করেন। নিহত আঞ্জুয়ারা খাতুনের জন্য এই সকল নারীবাদী সংগঠনগুলোর কোনো তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি। ঐ নারী শ্রমিক কোনো এলিট শ্রেণির সম্প্রদায়ভুক্ত নয়। তার কোনো রাজনৈতিক দল নেই। নারীবাদী সংগঠনগুলোর সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে হয়তো অনেকগুলো কারণ আবিষ্কার করা যাবে। এ সব কারণেই কি নারী সংগঠনগুলো আঞ্জুয়ারা খাতুনের জন্য তারা একটি বিবৃতি পর্যন্ত দিতে পারেননি? একইভাবে নানান বিষয়ে সোচ্চার মানবাধিকার সংগঠনগুলোও তিনজন শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা যায়নি। এ দেশে যেন শ্রমিকের জীবনের কোনো মূল্য নেই। প্রশ্ন আসে তাদের রক্তের রং কি লাল নয়? তারাও কি অন্য আর দশজন মানুষের মতো বাঁচার অধিকার রাখে না? গর্ব এবং গৌরবের সুফল পাওয়ার অধিকারী কি তারা নয়?

 

তিনজন শ্রমিক মারা যাওয়া এবং শত শত শ্রমিক আহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশীয় মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী এবং যারা নিজেদেরকে সুশীল বলে দাবি করে তাদের তেমন কোনো জোড়ালো বক্তব্য আমরা পাইনি। তিনজন নিহত শ্রমিকের মধ্যে একজন ছিলেন নারী। বাংলাদেশে অনেকগুলো নারী সংগঠন আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, সামান্য কারণে তারা বক্তব্য, বিবৃতি, সমাবেশ, সেমিনার, মিছিল অনেক কিছু করেন। নিহত আঞ্জুয়ারা খাতুনের জন্য এই সকল নারীবাদী সংগঠনগুলোর কোনো তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি।

বিগত বায়ান্ন বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে। নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে অসংখ্য শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। সড়ক ও রেলপথে রাস্তার আয়তন বেড়েছে। বিশাল বিশাল অট্টালিকা নির্মিত হয়েছে। রাস্তায় গণ পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। অসংখ্য নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানে মানুষের কর্মসংস্থান বেড়েছে। এর বিপরীতে আনুপাতিক হারে বেকারত্বের পরিমাণ বেড়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ব্যাপকহারে এ দেশের শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত এবং শ্রমিক শ্রেণির নাগরিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে। প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তাদের মাধ্যমে দেশে আসছে। গ্রামীন মাটির ঘরে আর কাঠের ঘরের পরিবর্তে সেখানে দৃষ্টি নন্দন দালান কোঠা নির্মিত হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়েছে। এর পাশাপাশি এই সেক্টরে শ্রমিকদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনের এন্তার অভিযোগ। এক শ্রেণির মালিক এই দেশে ব্যবসা করে বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে আরাম আয়েশের বিলাসী জীবন কাটাচ্ছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সমায়ে উনিশ ধনাঢ্য পরিবারের কথা আলোচিত হতো। এখন কয়েক হাজার মাল্টি বিলিয়নার তৈরি হয়েছে। এর বিপরীতে ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাগজে কলমে খাদ্য সংকট কমে যাওয়ার কথা বলা হলেও ফুটপাতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো অসংখ্য বনি আদম ডাস্টবিনে খাবার খোঁজার চেষ্টা করে। ঋণ পরিশোধের জন্য সন্তান বিক্রির খবর প্রায়শ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ঋণের বোঝা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার খবরও আমরা মাঝে মাঝে পত্রিকায় দেখি।

সামান্য খাবারের খোঁজে বনি আদম ডাস্টবিনে কুকুরের সাথে লড়াই করে। ফুটপাতে যার জীবন কাটে, চাকুরি না পেয়ে যে হতাশ যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাদের জীবনে বিজয় দিবস কী বার্তা দেয়। ভাত ও ভোটের অধিকার অধিকার দাবি করায় যারা লক্ষাধিক মামলা মাথায় নিয়ে দিন গুজরান করে তাদের জীবনে বিজয় দিবস কী বার্তা দেয়। যে শিশুটি জানে না, তার বাবা গুম হওয়ার পর কোথায় আছে, তার জীবনে বিজয় দিবস কী কোনো বার্তা বয়ে আনে। যে তরুণের বয়স আজ ত্রিশ বছর সে জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি, তার জীবনে বিজয় দিবসের আনন্দ কতটুকু ফলদায়ক। ঘুমন্ত যুবককে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো মামলা ছাড়াই ধরে নিয়ে যাবার সময় বলে আমার মা ও ছেলে অসুস্থ আমাকে নিয়েন না, তাঁর জীবনে বিজয় দিবসের ফলাফল আসলে কী। আমরা কিছু ভবন, কালভার্ট, সেতু আর টানেলের গল্প শুনি। মানুষের জীবনে আসলে কী উন্নয়ন হয়েছে? এমন হাজারো প্রশ্নের জবাব আসলেই আমাদের জানা নেই।

স্বাধীনতা পূর্ব আমলে আদমজী, বাওয়ানী, করিম প্লাটিনামসহ অসংখ্য বড়ো বড়ো পাট ও বস্ত্রকল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। ব্যক্তি মালিকানাধীন এ সব পাট ও বস্ত্রকলগুলো এক সময় লাভবান ছিলো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এ সকল পাট ও বস্ত্রকল সরকারি মালিকানায় নিয়ে যাওয়ার পর এগুলোর কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং অন্যায় দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে লোকসানের ঘানি টানতে হয়েছে। অন্যায় দুর্নীতি, চুরি, লুটপাট বন্ধ করার পরিবর্তে সরকারি মালিকানাধীন সব পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠেছে বেসরকারি মালিকানায় ব্যক্তি উদ্যোগে। এই সেক্টরের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আসে। যাদের ঘাম ও শ্রমে এই সেক্টর মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তাদের জীবন জীবিকার প্রতি মালিক কিংবা সরকার কারোই সুনজর আছে বলে মনে হয় না। বিজয় দিবসের সুফল এই সকল শ্রমিকরা কতটুকু ভোগ করে; এই প্রশ্নের উত্তর নেতিবাচকই হবে।

সমস্যা, সংকট আর হতাশার দিকচক্রবাকে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশ মাতৃকার সুবিশাল এ অর্জন। স্বাধীনতা আর বিজয়ের গল্প শুনতে ভালোই লাগে। প্রত্যাশার ঝুলিতে আমরা কিছু জমা করতে পারছি না। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন রাজনৈতিক সংঘাত সহিংসতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গোষ্ঠী নির্মূূল আর প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের এক অন্যায় কার্যক্রমকে বৈধতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা আমরা অবিরতভাবে দেখছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার মান কমেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা বরং কমেছে। ধনীর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু দরিদ্র আরো দরিদ্র হয়েছে। কৃষি প্রযুক্তি বেড়েছে, কৃষি উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু কৃষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। থানা, কোর্ট ও বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতি আগের তুলনায় বেড়েছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি বক্তৃতা আর সেমিনার সিম্পোজিয়াম হচ্ছে কিন্তু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই। মানবীয় মূল্যবোধ, সততা নৈতিকতা লোপ পেয়ে সেখানে জিঘাংসা, প্রতিহিংসাপরাণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলোর জরিপে দুর্নীতিতে আমরা বরাবরই শীর্ষে থাকছি। এ দেশের আবাল বৃদ্ধ বণিতা কী এ জন্য একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলো? তারা বিজয়ের যে লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো তা কি এ জন্য?

বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ প্রতিটি মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে প্রতিটি মানুষের অধিকারকে নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র ও সমাজ কাঠামোর সমস্যা সংকটগুলো দূর করতে হবে। একটি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। একটি আদর্শ রাষ্ট্রের জন্য একদল আদর্শ মানুষের দরকার। আদর্শ মানুষ তৈরির জন্য আদর্শিক নৈতিক শিক্ষা অপরিহার্য। একটি মানুষ তিনি যে পেশার লোকই হোন না কেন, তার মধ্যে আদর্শ ও নৈতিকতার লালন করতে হবে। একটি শিশু জন্মের পর পর্যায়ক্রমে যখন বড়ো হতে থাকে সে তখন সর্বত্র শুধু বৈষম্য, অনৈতিকতা, অন্যায়, অনাচার আর দুর্নীতির মহোৎসব দেখে দেখে বড়ো হচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র জুলুম, নির্যাতন আর নীতিহীনতার চাষাবাদ দেখে সে মূলত ভালো কিছু শিখতে পারে না। মানুষ তার সমাজ, পরিবার ও পারিপাশির্^ক পরিবেশ থেকেই মূল শিক্ষা গ্রহণ করে। এখানে যখন ইতিবাচক কিছু পায় না, তখন তার পক্ষে আদর্শ ও নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শ্রমজীবী শ্রেণি যখন সর্বত্র বঞ্চনা আর জুলুমের শিকার হয় তখন তার পেশার প্রতি কোনো আগ্রহ এবং ভালোবাসা তৈরি হয় না। সমাজে অবশ্যই সৎ, চরিত্রবান আদর্শ ও নীতিবান মানুষ আছে, কিন্তু অনৈতিকতার প্রবল বাত্যাপ্রবাহে এ সকল মানুষেরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বিজয়ের প্রকৃত সুফল প্রতিটি মানুষের তরে পৌঁছে দিতে কৃষক, শ্রমিক, মুটে মজুর, ডাক্তার, আইনজীবী, প্রকৌশলী, কৃষিবিদসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখি। সকলের তরে ভালোবাসা প্রদর্শন করতে হলে আত্মস্বার্থ, আত্মপূজা আর লোভ মোহকে পরিহার করতে হবে। দেশ, জাতি ও মানবতার স্বার্থে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। কোটি কোটি মানুষ আজ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, আসুন সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হই। কাগজে কলমে গণতন্ত্র থাকলেও বাস্তবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে যার যার অবস্থান থেকে আমার স্বীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করি। বাংলাদেশের দরিদ্র কৃষক, শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ অর্থনৈতিক বঞ্চনার শিকার, আসুন অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলি। উন্নয়নের ডামাডোল আর সস্তা বুলি নয় এর সাথে মৌলিকভাবে দরকার সুশাসন, মানুষ ও মানবতার কল্যাণে সুশাসন নিশ্চিত করি। প্রতিহিংসা, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন আর গোষ্ঠী নির্মূলের যে ভয়ংকর খেলা চলছে তা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে শ্রমিক, কৃষক, পেশাজীবী সহ সকল স্তরের জনগণের মাঝে গড়ে তুলি সাম্য, সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। বিজয়ের হাসিতে উদ্ভাসিত হোক সকলের জীবন-এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

Previous Post

শ্রমিকনেতা মোস্তাফিজুর রহমান-এর ইন্তিকালে শ্রমিক কল্যাণের শোকবার্তা

Next Post

শ্রমিক বার্তা | সপ্তম বর্ষ | সংখ্যা ২৮

Next Post
শ্রমিক বার্তা | সপ্তম বর্ষ | সংখ্যা ২৮

শ্রমিক বার্তা | সপ্তম বর্ষ | সংখ্যা ২৮

সর্বশেষ সংযোজন

শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

by skalyanad
এপ্রিল ১৮, ২০২৪
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শ্রমজীবী ভাইবোনদের মাঝে ইসলামের সুমহান আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে। আসন্ন...

শ্রমজীবী মানুষ ও দেশবাসীকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

শ্রমজীবী মানুষ ও দেশবাসীকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

by skalyanad
এপ্রিল ৮, ২০২৪
0

দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ, দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।...

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম

by skalyanad
মার্চ ২৮, ২০২৪
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষরা সর্বক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত। তাদের অধিকার আদায়ের...

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

by skalyanad
মার্চ ২৭, ২০২৪
0

আসন্ন ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে যে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য রাষ্ট্র ও মালিকদের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার...

স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে : বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

by skalyanad
মার্চ ২৬, ২০২৪
0

এদেশের শ্রমজীবী মানুষের সস্ত্রশ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছে। কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ শ্রমজীবী মানুষরা পায়নি। রাজনৈতিক বিভেদ স্বাধীনতাকে...

  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
  • সাংগঠনিক কাঠামো
  • শাখা সংগঠন
  • ট্রেড ইউনিয়ন
  • সংবাদ
  • ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম
  • প্রকাশনা
  • দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা
  • আর্কাইভ
  • যোগাযোগ

কপিরাইট © 2024 বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন.

Design and Developed by Bijoylab IT| Contact:+01818 650864
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংগঠন
    • পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সাংগঠনিক কাঠামো
    • কেন্দ্রীয় সংগঠন
    • কেন্দ্রীয় সভাপতি
    • সাধারণ সম্পাদক
    • কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • কার্যকরী পরিষদ
  • শাখা সংগঠন
    • মহানগর
    • জেলা
    • উপজেলা
    • সাংগঠনিক স্তর
    • অঞ্চল
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • সংবাদ
    • সকল সংবাদ
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • অন্যান্য
  • ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম
    • পরিবহন
    • গার্মেন্টস
    • রিকশা
    • কৃষি ও মৎস্য
    • নৌ পরিবহন
    • রেলওয়ে
    • দর্জি
    • ইমারত/নির্মাণ
    • চাতাল
    • স্থল বন্দর
    • দোকান কর্মচারী
    • হকার্স
    • হোটেল কর্মচারী
    • হাসপাতাল শ্রমিক
    • পাটকল শ্রমিক
    • ফার্নিচার
    • তাঁত শ্রমিক
    • বিটিসিএল
    • ব্যাংক কর্মচারী
    • স্টিল এন্ড রি-রোলিং শ্রমিক
    • লোড আনলোড/কুলি
    • অন্যান্য
  • প্রকাশনা
    • নববর্ষ
    • বই
    • পোস্টার
    • বিজ্ঞাপন
    • ক্যালেন্ডার
    • দাওয়াতি স্টিকার
    • লিফলেট
    • স্মারক/স্মরণিকা
    • অন্যান্য
  • দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা
  • আর্কাইভ
    • কুরআনের শিক্ষা
    • হাদিসের শিক্ষা
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
  • যোগাযোগ
English

কপিরাইট © 2024 বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন.