বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অফিস-আদালত, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আজ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে গাজীপুর মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারদিন হাসান হাসিব-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হাসান-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগরের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মনসুর রহমান, মহানগর উপদেষ্টা খায়রুল হাসান। আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা হোসেন আলী, এ এইচ এম ইরফানুল হক, গাজীপুর জেলা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, ভাষা আন্দোলন হয়েছে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে। আজ রাষ্ট্র ভাষা বাংলা কিন্তু বাংলা ভাষা কোথাও ব্যবহার হয় না। সাধারণ মানুষ কথা বলে বাংলা ভাষায় কিন্তু কাগজ কলমে চলছে ইংরেজি ভাষা। চিকিৎসকরা বাংলা ঔষধ লেখেন না। কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ে বাংলা পাঠদান করা হয় না। কলকারখানায় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও বেতন বই ইংরেজিতে লেখা হচ্ছে। শ্রমিক জানে না সেখানে কী লেখা আছে। আদালত রায় দেয় ইংরেজিতে। সর্বত্র ইংরেজি জয়জয়কার চলছে। এভাবে চলতে থাকলে ভাষা আন্দোলন তার মর্যাদা হারাবে। দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। কোনো জাতি মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে এগিয়ে যেতে পারে না। বরং মাতৃভাষাকে সবকিছুর মাধ্যম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জাপান, ফ্রান্সের মত দেশ তাদের মাতৃভাষায় রক্ষার জন্য অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। তারা মাতৃভাষার সাথে অন্য ভাষার সংমিশ্রণ করতে দেয় না। মাতৃভাষা ব্যবহার না করলে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার নজির তাদের রয়েছে। আর আমরা যারা ভাষার জন্য রক্ত দিলাম তারাই ভাষাকে যথেষ্ট অবহেলা করছি। এটি ভাষা আন্দোলনের চেতনার সাথে যায় না। বৈশি^ক বাস্তবতায় আমরা বিভিন্ন ভাষা শিখবো কিন্তু আমাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দিবো। এটি হওয়া উচিত সর্বত্র।
শ্রোতা যদি বক্তার বক্তব্য না বুঝতে পারে সে বক্তব্যের কোনো মূল্য থাকে না। একইভাবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে রোগীকে আরেকজনের কাছে ছুটতে হলে সে চিকিৎসা কোনো কাজে আসে না। আমরা আশা করছি রাষ্ট্র বাংলা ভাষাকে সর্বত্র ব্যবহার করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তাহলে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে।
নিম্নোক্ত শাখায় শহিদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে :
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ : ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা অঞ্চলের উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অঞ্চল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম-এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান। এছাড়াও কামরাঙ্গীচর রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও সামষ্টিক ভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা মহানগরী উত্তর : ঢাকা মহানগরী উত্তরের কার্পেন্টার ট্রেড ইউনিয়নের উদ্যোগে বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রমিক নেতা মোশতাক আহমদ-এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগরীর সহ-সভাপতি মিজানুল হক। প্রধান বক্তা সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান।
চট্টগ্রাম মহানগর : চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর উপদেষ্টা আ জ ম ওবায়দুল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর : নারায়ণগঞ্জ মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নড়াইল জেলা : নড়াইল জেলার কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা : ময়মনসিংহ জেলার ঈশ^রগঞ্জ ও ভালুকা উপজেলার উদ্যোগে পৃথকভাবে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়া শহর : বগুড়া শহরের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শহর সভাপতি আজগর আলী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম।
মাদারীপুর জেলা : নড়াইল জেলার কৃষি ও মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা : ঠাকুরগাঁও জেলার উদ্যোগে শ্রমিক পরিবারের সন্তানদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা : কক্সবাজার জেলার শহর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহর সভাপতি সারওয়ার আলম-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর। এছাড়াও জেলার উখিয়া উপজেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা : চাঁদপুর জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়া জেলা পশ্চিম : বগুড়া জেলা পশ্চিমের শিবগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যশোর জেলা পশ্চিম : যশোর জেলা পশ্চিমের ঝিকরগাছা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট জেলার উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রেলওয়ে এমপ্লীয়জ লীগ : বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ লীগের উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নীলফামারী জেলা : নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরগুনা জেলা : বরগুনা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রংপুর জেলা : রংপুর জেলার মিঠাপুকুর দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পূর্ব : রাজশাহী জেলা পূর্বের উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা : মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলা রংতুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে পৃথকভাবে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ : চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।