বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, করোনাকালীন এই দুর্যোগে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের পরিবারে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়া অসংখ্য শ্রমিক দিনমজুর অতিকষ্টে দিনানিপাত করছেন। আর কিছুদিন পর আমাদের সামনে ঈদুল ফিতর আসছে। ঈদের আনন্দ উৎসব থেকে কোন শ্রমিকের পরিবার যেন বঞ্চিত না থাকে সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। একই সাথে ঈদের আনন্দ শ্রমজীবী মানুষের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে হবে।
তিনি আজ শুক্রবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস-২০২১ উপলক্ষে অসহায় শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিব্বুল্লাহর পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জামিল মাহমুদ প্রমুখ।
জনাব শামসুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন শ্রমিকের আয়ের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। পরিবার পরিজনের জন্য খাবার যোগাড় করতে প্রতিটি শ্রমিককে আজ হিমশিম খেতে হচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজান কষ্টে অতিবাহিত করতে হচ্ছে। ঈদে একজন শ্রমিক তার নিজের জন্য তো দূরের কথা অতি আদরের সন্তানের জন্যও একটি নতুন পোশাক কেনার মতো সামর্থ্য আজ নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা করোনার শুরু থেকে শ্রমজীবী মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। নামকাওয়াস্তে কিছু শ্রমিককে সাহায্য দিয়ে তাদের দয়িত্ব শেষ করেছে। অসংখ্য শ্রমিকের হাহাকার তাদের কর্ণকহুরে পৌঁছায়নি। যা একটি রাষ্ট্রের কাছে কোনভাবে প্রত্যাশিত না। আমরা আবারো সরকারের কাছে শ্রমজীবীদের জন্য যথাযথ বরাদ্দ দাবি করছি। ঈদের আগে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকের জন্য নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।