বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলামকে নতুন করে ৩ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আ ন ম শামসুল ইসলাম-এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, তার ওপর সরকারের জুলুম সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছরের ৭ই সেপ্টেম্বর সরকার অন্যায়ভাবে রাতের আঁধারে ঢাকার একটি বাসা থেকে আ ন ম শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে আজ অবধি ১ বছর যাবত তিনি কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দি আছেন। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক দায়েরকৃত ৯০টির অধিক মিথ্যা মামলায় তাকে আসামী করে। এসব মামলায় তিনি ইতিঃপূূর্বে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। আ ন ম শামসুল ইসলাম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি এসব মিথ্যা মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করে আদালত থেকে জামিন নেন। সকল মামলায় জামিন নেওয়া সত্ত্বেও বারবার তাকে কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে সরকারের ইশারায় নতুন নতুন মামলায় আসামী করে কারাগারে আটক রাখা হয়। সরকারের এই অপচেষ্টা একদিকে যেমন আইনের শাসনের পরিপন্থী ঠিক অন্যদিকে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল। সর্বশেষ সকল মামলায় জামিন নিয়ে তিনি যখন বের হওয়ার চেষ্টা করছেন ঠিক তখন পুনরায় অতীতের ধারাবাহিকতায় আবার ৩টি নতুন পুলিশী মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য পুলিশ আদালতে আবেদন করে। সরকারের ইশারায় নিম্ম আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন। এই গ্রেফতার দেখানোর প্রক্রিয়া তার সকল মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, নিম্ম আদালত যদি এইভাবে সরকারের আজ্ঞাবহে পরিণত হয় তাহলে আদালতের ওপর দেশের মানুষের কোন আস্থা থাকবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আ ন ম শামসুল ইসলাম দেশের একজন সাবেক আইন প্রণেতা ও বয়স্ক রাজনীতিবিদ। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ। বাংলাদেশ জেলকোড ৬১৭ বিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন পাওয়া তার অধিকার। গ্রেফতারের পর থেকে কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের ইশারায় তাকে তার সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে আ ন ম শামসুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক তাকে স্ব-সম্মানে মুক্তি দিতে হবে। দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে তাকে ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় দেশের শ্রমজীবী মানুষ তাদের নেতাকে মুক্ত করতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।