বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ট্রেড ইউনিয়নের সুফল থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছে। এর পেছনে একমাত্র কারণ ট্রেড ইউনিয়নে কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্বের অভাব। ট্রেড ইউনিয়নকে কার্যকর ভূমিকায় দেখতে হলে সর্বপ্রথম গণমুখী ও শ্রমিকবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ট্রেড ইউনিয়ন প্রশিক্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমাদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর হোসাইন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মো.তসলিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, প্রকাশনা ও পাঠাগার সম্পাদক জামিল মাহমুদ প্রমুখ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ইসলাম বলে-শ্রমিক ও মালিকের মধ্যকার সম্পর্ক হবে ভাই ভাই। তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক হবে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা-স্নেহ, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও বিশ্বস্ততায় পরিপূর্ণ। মালিক শ্রমিকের ওপর কোনো ধরনের অন্যায় আচরণ যেমন করবে না ঠিক তেমনিভাবে শ্রমিকরা মালিকের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না। তাঁরা উভয়ে একেঁ অপরের প্রতি সুসংহত আচরণ করবে। নিজ নিজ কর্তব্য পালনে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবে। মালিক-শ্রমিক ইসলামী আদর্শ ধারণ করতে পারলে উভয়ে দুনিয়ায় ও আখেরাতে সফলতা লাভ করবে।
তিনি বলেন, আদর্শিক অগ্রযাত্রা সমাজের বৃহৎ অংশকে বাহিরে রেখে সফল হতে পারে না। আমরা যদি এদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই তাহলে শ্রমজীবী মানুষদের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। এদেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমিক। তাঁদের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও ত্যাগ ছাড়া দেশকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে না। আমার বিশ্বাস দুঃশাসন-নিপীড়নের অবসানের জন্য শ্রমজীবী মানুষরাই সর্বপ্রথম রাজপথে নেমে আসবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, শ্রমজীবী মানুষের ত্যাগ ছাড়া কোনো আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাঁরা আজকে যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও এই দুঃশাসন থেকে বাঁচতে চায়।