বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। মালিকরা তাদের যৎ সামান্য মজুরি প্রদান করে। শ্রমিকদের জীবন নির্বাহ করার জন্য কাস্টমারের বখশিসের ওপর নির্ভর করতে হয়। এটি একজন শ্রমিকের জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়। শ্রমিকরা দয়া চায় না। তারা শ্রমের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরি চায়। হোটেল শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত হোটেল সেক্টরের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। হোটেল সেক্টরের সভাপতি আব্দুস সালাম-এর সভাপতিত্বে ও ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, হোটেল শ্রমিকদের কোনো নির্ধারিত কর্মঘণ্টা নেই। তাদের নির্ধারিত মজুরি কাঠামো নেই। মালিকরা নিজেদের মর্জি মত করে শ্রমিকদের বেতন দেয়। যে বেতনে একজন শ্রমিকের পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃসাধ্য। চলমান ঊর্ধ্বগতিতে দেশের শ্রমিকদের জীবন কঠিন হয়ে পড়েছে। সে অবস্থায় হোটেল সেক্টরের মত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা কি যে কষ্টে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ না হলে তাদের ন্যায্য দাবি আদায় সম্ভব হবে না। সারাদেশের হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের এক প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসতে হবে। শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার ও সুস্থ জীবনের নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। যতদিন হোটেল শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝে না পায় ততদিন পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, এদেশের মালিকরা সুযোগ পেলেই শ্রমিকদের ঠকিয়ে যায়। অধিকাংশ মালিক নিজ থেকে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি পরিশোধ করতে চায় না। এমন অবস্থায় শ্রমিকদের অধিকার ও জীবনমান এগিয়ে নেওয়ার জন্য শ্রমিকদের এক হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমরা চাই মালিকদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। হোটেল শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথম তাই ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।